স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মোহাখালী ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় বসে চলছে ‘নাগরিক কমিটি’ নামক সংগঠনের বিতর্কিত কার্যক্রম। ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দাবি করেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের স্থানীয় প্রশাসকের ইন্টারভিউ নেওয়ার নামে চলছে অর্থ লেনদেনের এক বিশাল প্রকল্
স্ট্যাটাস অনুযায়ী, এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ। তিনি মোহাখালীর ৩১ নম্বর রোডের ৪৬৯ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় বসে এসব ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের জন্য ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই প্রকল্পের মূল হোতা হিসেবে আছেন আসিফ মাহমুদ, যিনি শতকোটি টাকার এই ‘নীরব প্রকল্প’ চালাচ্ছেন। লেনদেনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছেন বৈষম্য বিরোধী সংগঠনের সদস্য আবু সাঈদ লিওন।
স্ট্যাটাসে আরও দাবি করা হয়েছে, এই ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী লুতফর, যিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের এক নারী নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একসময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
১৫ মার্চ দুপুর ১১টার পর থেকে ইন্টারভিউ কার্যক্রম শুরু হয় এবং দুপুর ২টার দিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেন, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বড় চেয়ারে বসে আছেন, তার পাশে অভিযুক্ত লুতফর এবং দরজার পাশে বসে আছেন লিওন।
নিচে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

” আসিফ নজরুলের চালা আসিফ মাহমুদের শতকোটি টাকা মারার প্রজেক্ট নীরবে চলছে!
একটি বাসায় বসে ঢাকা উত্তরে ১২৯ টি ওয়ার্ড স্থানীয় প্রশাসকের ইন্টারভিউ নিচ্ছেন নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ। মোহাখালী ডিওএইচ এস এর ৩১ নং রোডের ৪৬৯ নং বাসার ৩য় তলায় চলছে রমরমা এই বানিজ্য । সর্বশেষ ইন্টারভিউ সহ লেনদেন গুলো বৈষম্য বিরোধীর আবু সাঈদ লিওন যে আসিফ মাহমুদের কাশিয়ার। নাগিরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ঢাবি শিক্ষার্থী লুতফর যে কিনা ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন নারী নেত্রীকে ধ’র্ষণের অভিযোগে গ্রে’প্তার হয়েছিল। ধ’র্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত লুৎফর এই ভাইবা নেওয়ার সময় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিল।
১৫ মার্চ দুপুর ১১টার পর থেকে ইন্টারভিউ শুরু হয়, নির্ভরযোগ্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুর দুইটার সময়
ইন্টারভিউ বোর্ডের পাশের বড় চেয়ারে আলাউদ্দিন মাঝখানে লুতফর ও পাশে আর দরজার শুরুতে বসা ছিলেন লিওন।
এভাবেই চলছে সংস্কার।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতি ৫০ লাখ।”
এই ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়নি। তবে অভিযোগগুলো গুরুতর এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।