মঠবাড়িয়ার তুষখালী খালে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে : পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুষখালী খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধারের দুইদিন পর তার পরিচয় পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে মঠবাড়িয়া থানায় লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করেন নিহতের পিতা। এটি হত্যাকাÐ বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার। এর আগে গত মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া ওই লাশের কোনো পরিচয় না পেয়ে পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশের ময়না তদন্তু শেষে পিরোজপুর আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম ধলু মিয়া (৩০)। সে পার্শবর্তী বামনা উপজেলার অযোধ্যা গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ট্রলি চালক ছিলেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত থকার সন্দেহে দুই জনকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আটক করেছে।
আটককৃতরা হল উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের ছোট মাছুয়া গ্রামের আফজাল শরীফের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৫) ও জাফর শরীফের ছেলে রিয়াজ শরীফ (৩২)।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধলু ট্রলি চালানোর সূত্র ধরে মঠবাড়িয়ায় মালামাল পরিবহন করতো। গত ২৭ রমজান রবিবার পাওনা টাকা আনার কথা বলে বামনার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ধলু মিয়া। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায। পরে মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া তুষখালী একটি খাল থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা আনোয়ার হাওলাদার জানান,গত ২৭ রমজান ধলু সকালে বামনার নিজ বাড়িতে এসে বিকালে আবার মঠবাড়িয়ায় চলে যায়। যাবার সময় সে পরিবারের কাছে জানায় ট্রলি মালিকের কাছে পাওনা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ঈদের আগে ফিরে আসবে। কিন্তু সে যাওয়ার পর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তার ছেলে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুন হতে পারে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এ বিষয় মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আটককৃতদের আজ শুক্রবার সকালে পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।