দুই মাসের দুধের শিশুকে রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেলেন মা !

Sharing is caring!

দুই মাস বয়সের এক কন্যাশিশুকে রেখে গভীর রাতে স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে গেলেন তাসলিমা আক্তার ওরফে বিথী নামে এক মা। গত ১৬ অক্টোবর রাতে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।।

চলে যাওয়ার সময় একটি চিরকুট লিখে রেখে যান। চিরকুটে তিনি লিখেন, আমি নিজের ইচ্ছামতোই চলে গেলাম। আর এ জন্য আমার স্বামী বা পরিবারের কেউ দায়ী নয় এবং আমার রেখে যাওয়া বাচ্চার প্রতিও আমার কোনো দাবি নেই।

গত ৮ দিন ধরেই মা হারা ওই দুধের শিশুটির লালন-পালন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন শিশুটির অসুস্থ দাদী মাজেদা বেগম। গত ১৬ অক্টোবর রাতে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, গত প্রায় দেড় বছর আগে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর এলাকার লাহুত মিয়ার ছেলে রোমান মিয়ার সাথে একই উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসলিমা আক্তার ওরফে বিথীর বিয়ে হয়।

গৃহবধূ তাসলিমার স্বামী রোমান মিয়া জানান, তার স্ত্রী তাসলিমা বিয়ের আগে তার মা জামিলা আক্তারকে নিয়ে ঢাকার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় থেকে সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করতো। আর সেখানে থাকা অবস্থায় ওই এলাকার আলীরাজ নামে এক যুবকের সাথে তাসলিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে তার প্রেমের এ বিষয়টি মা এবং মেয়ে দুইজনই গোপন রেখে প্রায় দেড় বছর আগে তারা ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি মোহনগঞ্জের উদয়পুর গ্রামে চলে আসেন। পরে জয়নাল আবেদিন নামে স্থানীয় এক ঘটকের ঘটকালীতেই রোমান মিয়ার সাথে তাসলিমার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের ৪-৫ মাস যেতে না যেতেই গৃহবধূ তাসলিমা তার সাবেক প্রেমিক আলীরাজের সাথে গোপনে মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি তার স্বামীর কাছে ধরা পড়ে এবং এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এর পরদিন রাতেই তাসলিমা কাউকে না জানিয়ে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পালিয়ে ঢাকার মুন্সিগঞ্জে তার খালার বাসায় চলে যায়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে গত ২১ জানুয়ারি তার স্বামী রোমান মিয়া বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। যার জিডি নম্বর ৭০২। এ ঘটনার ৪ দিন পর ওই গৃহবধূকে তার মা বাবাসহ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার পুনরায় তাকে স্বামীর ঘরে রেখে যান। পরে এ অবস্থাতেই গৃহবধূ তাসলিমার গর্ভে থাকা কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। এরপর সে পুনরায় ওই সাবেক প্রেমিকের টানে দুই মাস বয়সের তার ওই কন্যাশিশুটি রেখে গত ১৬ অক্টোবর রাতে পালিয়ে যায় এবং স্বামী রোমন মিয়া পুনরায় তার বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানা আরো একটি জিডি করেন। যার জিডি নম্বর ৮৯৪। এর পর থেকে মা ছাড়া ওই দুধের শিশুটির লালন পালন করা নিয়ে শিশুটির দাদী মাজেদা বেগম চরম বেকায়দায় পড়েছেন।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. শওকত আলী বলেন, এমন একটি শিশুকে রেখে কিভাবে মা থাকতে পারে এটি আমি বুঝে উঠতে পারছি না। এ বিষয়ে মেয়েটির নামে থানায় একাধিক জিডিও রয়েছে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YouTube
error: Content is protected !!