নিউজ ডেস্ক : কোটা সংস্কার ইস্যুতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে আজ রোববারের সহিংসতার ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সহিংসতার ফলে এই আন্দোলনে মোট নিহতের সংখ্যা বর্তমানে ১১৮ জনে পৌঁছেছে।
রোববার ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ী এবং দনিয়া এলাকায় সহিংসতার পর নিহত পাঁচজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। এছাড়া, আরও একজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হলেও, তা নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে একজন ফুটপাতের হকার, একজন ফল ব্যবসায়ী এবং একজন পথচারী ছিলেন। নিহতদের মধ্যে কারও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা সহিংসতার তীব্রতা নির্দেশ করে।
রোববারের সহিংসতার সময় ঢাকা শহরের শনির আখড়া এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনভর এই এলাকায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনে গুলি চালায়, আর বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। সংঘর্ষের কারণে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয় এবং অনেক স্থানে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গতকাল শনিবারও এই এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেদিন অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যাদের মধ্যে পুলিশের দুইজন সদস্যও ছিলেন।
রোববার ঢাকায় কারফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে। এই সহিংসতার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব, পুলিশ এবং বিজিবি ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এ পরিস্থিতিতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন সহিংসতা রোধ এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি সূত্রের দাবি, সহিংসতার শিকার এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সহায়তা প্রদান এবং ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান সহিংসতা এবং বিক্ষোভের ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে, যা দেশব্যাপী উদ্বেগ ও হতাশা সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সহিংসতার এ পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনঃস্থাপন সম্ভব হবে।